ঝি ঝি পোকা আর ঢাকা

আদর্শ পোস্ট ফরম্যাট

বিষাক্ত গ্যাস আর ঝোপঝারবিহীন ঢাকা শহরে ঝিঝি পোকার ডাক শোনা সত্যিই পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার।
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে ভিড় করছে এখানে। কেউ কাজের আশায় কেউবা পড়াশুনার আশায়। যার ফলে প্রভাব পরছে শহরটির উপর। এসব খেত্রে পরতিক্খনেই বলি হচ্ছে রাজধানী মর্যাদা পাওয়া ঢাকা। বাড়ছে গাড়ি বাড়ছে বাড়ি আরও বাড়ছে মানুষ শুধু কমছে সবুজের ছবি।
লক্ষ করলেই দেখবেন সবুজের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। যা দু একটা আছে তাও বিকৃত মনের কিছু মানুষ ধংস করছে। নিঃপাপ উদ্ভিদটিকে সরিয়ে তারা বুনছে টাকার গাছ তথা ফ্লাট। একসময় যে ধানমন্ডি, গুলশান এলাকা ধানক্ষেতে ভরপুর ছিল তারতো কোন চেহারাই নেই। এখন রাস্তার পাশের গাছগুলাই একমাত্র সম্বল। কিন্তু এগুলো ও রেহাই পাচ্ছে না

এ জন্য প্রধান কারণ ই হল আমজনতার ঢাকামুখী আগমন। এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি ব্যার্থতা বলতে হয়। কেন শুধু ঢাকা? আর কোন জায়গা কি নেই? পর্যাপ্ত সুযোগ ও সুবিধা যদি অন্যান্য শহরে ও নিশ্চিত করা হত তাহলে কেউ কি সাধে এখানে আসত? আর এমন পরিবেশ সৃষ্টি হত?
কেন সবকিছু সুধু এখানেই?
গত বছরের জরিপে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা সবচেয়ে নোংরা শহর এর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। এবার হয়তো প্রথম হবে। 😦
সরকারের উচিত অন্যান্য জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিস গুলোর মান বাড়ানো। পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানি গুলোকেও তাদের নিজেদের প্রচারে অন্যান্য জেলায় ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হবে। এতে ঢাকার উপর চাপ অনেকটা কমে যাবে। বাড়ির কাছেই যদি ব্যক্তি তার কাঙ্খিত সুবিধা পায় তবে সে কেন ঝোপঝার বিহীন ঢাকায় আসবে?এমনিতেই বুড়িগঙ্গা ধংস হয়ে গেছে এখন বাকি শুধু ডাঙা টুকু।
জানি এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার কিন্তু অসম্ভব নয়।সুধু টনক নড়াই জরুরি। চাইলেই সম্ভব।
এতে একটু হলেও হয়তো রাস্তায় বের হয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারব। সন্ধ্যার পর ঝিঝি পোকার ডাক শুনতে পারব।।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.